চৌগাছা পরকিয়া স্বামীর হুমকিতে রহস্যজনক আত্মহত্যা “কে দায়ী”
শ্যামল দত্ত চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ঃ চৌগাছার টেঙ্গুরপুরে এভাবে হাতে ও চিরকুট লিখে নূরী নামে এই নারী আ- ত্ম- হ- ত্যা করেছেন।
তিনি নিজের হাতে ও একপাতা কাগজে লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি না সন্তান না হবার কারনে আমি গ-লাই দ- রি দিলাম” কাগজে অন্য প্যারায় লেখা, “দুনিয়া বড় কঠিন আমি সব কিছু ছেরে চ-লে গেলাম” কাগজটির অপর পাতায় কালো কালি দিয়ে লেখা, “এই তোমার এই নাক বুছিরে কেন ভালোবাসো কেন বিয়ে করতে চাও”
পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক পশু চিকিৎসকের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয় সামনে আসছে। শোনা যাচ্ছে ওই নারীকে বিয়েও করেছিলেন পশু চিকিৎসক। নিজের বাড়িতেও স্ত্রী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ নারীটির প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়নি। নারীটির লেখা শেষ লাইনটি হয়তো সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
এক সপ্তাহ আগে নারীটি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে স্বামী তা গ্রহণ করেননি। তিনি স্ত্রীকে তালাক দিতে চান না। তিনি গতকাল শুক্রবার স্ত্রীর বাবার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। স্ত্রীও তার সাথে বাড়িতে চলে আসেন কাল। অথচ আজ–। ঘটনার পরে আজ শনিবার(১জুন) সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে নারীটির স্বামী কাঁদতে কাঁদতে বললেন ”কেন আমি ডিভোর্স দেব? আমি তো বারো বছর ধরে সংসার করছি। আমি তো ওকে ভালোবাসি।”
স্বামীর দাবি ১২ বছর সংসার করছি। সন্তান হয়নি। কোন সমস্যা তো হয়নি। আমার একটা ছাগলের অসুখ হয়েছিলো। তখন পশু চিকিৎসক বাড়িতে এসেছিলো। তারপর থেকে স্ত্রী কেমন হয়ে গেছিলো। ও বলতো, ডাক্তারকে ভালোবাসি, তাকে বিয়ে করবো। ডাক্তার চৌগাছার দোতলা বাড়িতে আমাকে রাখবে।
তখনই তিনি বলেন, “কেন আমি ডিভোর্স দেবো? আমি তো ওকে ১২বছর ধরে ভালোবাসি।” প্রতিবেশিরা জানান, মেয়েটির মায়ের প্রশ্রয়ে সে পশু চিকিৎসকের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে।
পাশের গ্রামের ওই পশু চিকিৎসকের মোবাইলে বারবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার পরিবারের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, বিষয়টি তারা লোকমুখে শুনেছেন।
কথা হলো নারীটির বিয়ে হয়েছে ১২ বছর। যখন বিয়ে হয় তখন সে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। বারো বছরে তাদের সন্তান হয়নি। তাতে পরিবারে তেমন কোন সমস্যাও হয়নি। অথচ সামান্য কদিনে সংসারটি তছনছ তো হলোই, জীবনও গেলো। স্বামীটির ছিলো স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা, আর স্ত্রীর অন্তরে পশু চিকিৎসকের জন্য ভালোবাসা। পশু চিকিৎসককে বাঁচাতে চিরকুটে সুন্দরভাবে দায়ি করে গেলো সন্তান না হওয়াকে। এখন সাদা চোখে সবাই দোষ দেবে স্বামীটি ও তার পরিবারকে। এরজন্য দায়ী আসলে কে?
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী তিনি বলেন রুরী বেগম (২৭)নামে এক জন আত্মহত্যা করেছেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আর বলেন দুই পরিবারের অভিযোগ নেই আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে একটু অপমৃত্য মামলা হয়েছে।