Type to search

চৌগাছায় মাদক কারবারি শাহান আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী 

চৌগাছা

চৌগাছায় মাদক কারবারি শাহান আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ঃ

যাশারের চৌগাছায় উপজেলার সুকপুকুরিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের শাহান আলী (৫৫) এর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী।

মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ কি অভিযোগ নেই  ক্যাডার শাহান আলীর  বিরুদ্ধে।

শাহান আলী সাবেক ইউপি সদস্য ও  কুলিয়া গ্রামের মৃত লবাই মন্ডলের ছেলে।

চার দলীয় ঐক্য জোটের আমলে বিএনপির  ক্যাডার এবং পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি ও  সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলো।

নানা অপকর্মের কারণে চৌগাছা থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকা ছেড়ে গা ডাকা দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কতিপয় সুবিধাভোগী নেতার প্রশ্রয়ে আবার মাথা চাঁড়া দিয়ে ওঠেন। এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে শুরু করেন মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিএনপি জামায়াতের কর্মী থেকে শুরু করে নিরীহ লোকদের ওপর সিমাহীন অত্যাচার।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছত্র ছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ইউপি সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি।

৫ আগষ্টের পরে রাতারাতি বিএনপি নেতা বনে যান তিনি। উপজেলা বিএনপি এক নেতার ছত্রছায়ায় আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শাহান। ১৭ আগষ্ট রাতে মদ পান করে গ্রামে প্রবেশ করে নিরিহ গ্রামবাসীর বাড়িতে প্রবেশ করে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও নারীদের মারপিট করে শাহান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শাহান আলী অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি, চাঁদাবাজি ও মাদক মামলার আসামি। পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলো। ৫ আগষ্টের পরে উপজেলা  বিএনপির এক নেতার হাত ধরে আবার এলাকায় আসেন। এলাকায় এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে । তার রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। কথায় কথায় সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করে। তার ও তার বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেনো কিছু হলেই মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করাই হলো তার বড় কাজ। এককথায় এলাকার সাধারণ মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একজন  বলেন, কিছুদিন আগে বিনাকারণে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে শাহান। এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।  তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করেছেন কি না? জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা গরীব সাধারণ মানুষ। থানায় মামলা করেছি শুনলে প্রাণে মেরে ফেলবো এবং পরিবারের স্বজনদের ওপর নির্যাতন করবে। সে ভয়ে থানায় মামলা-মোকাদ্দমা করিনি।

এবিষয়ে সত্যতা জানতে শাহানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং বেশ কয়েকবার তার সাথে তার এলাকায় গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, শাহান আগে থেকেই বিএনপি কর্মী।  তার অপরাধের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।