Type to search

চৌগাছায় চাচির হাত ভাঙ্গল ভাতিজা আতংকে চাচার মৃত্যু!

যশোর

চৌগাছায় চাচির হাত ভাঙ্গল ভাতিজা আতংকে চাচার মৃত্যু!

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় ছাগলে জিলাপি খাওয়ায় পিটিয়ে চাচির (৫৫) হাত ভেঙে দিয়েছে ভাতিজা। এসময় স্ত্রীকে রক্ষা করতে গিয়ে অসুস্থ আজগর আলী (৬৫) নামে চাচা পড়ে গিয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আজগর আলী উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পাশাপোল গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার সকালে মৃতের লাশ দাফনের সময় বিষয়টি প্রচার হয়।পরে দশপাকিয়া ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দশপাকিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন পরিবার ও স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন আজগর আলী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতে ছাগলে জিলাপি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজা তপন তার স্ত্রীকে মারধর করলে স্ত্রীর হাতে চোট লাগে। এসময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন এসপি স্যারের সাথে পরামর্শ করে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, আজগর আলী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তার ভাতিজা মারপিট করে চাচির হাত ভেঙে দেয়ায় গ্রামের লোকজন সালিশ-মিমাংশা করা হয়। আহত চাচির পরিবারটি খুবই গরিব ও অসচ্ছল হওয়ায় অসুস্থ চাচির চিকিৎসার জন্য একলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশ সুপার পর্যন্ত গড়ায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
আজগর আলীর স্ত্রী চায়না বেগম বলেন, শনিবার বিকেলে গ্রামের একটি মিলাদ মাহফিল থেকে জিলাপি এনে রাখে তার ভাসুর মোজাফর রহমানের ছোট ছেলে তপন (৩৫)। এরপর কোন এক সময় তাদের একটি ছাগলে ওই জিলাপি খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রাত আটটার দিকে তপন আমাদের ঘরে এসে আমাকে মারপিট করে। তিনি হাতে ব্যান্ডেজ দেখিয়ে বলেন এসময় আমি হাতে আঘাত পাই। এসময় আমার স্বামী আমাকে ঠেকাতে গিয়ে পড়ে যায়। এর পরপরই তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন আমার স্বামী প্রায় ৮ বছর ধরে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিছানাধারী হয়ে ছিল। তার লিভারেও পানি জমে গিয়েছে বলে ডাক্তাররা বলেছেন।
আজগর আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম প্রথমে বলেন ঘটনার সময় আমি গ্রামের একটি ওয়াজ মাহফিলে ছিলাম। লোকজন বলছে আপনি ওই সময় দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রশ্নে তিনি বলেন আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম। তাহলে রক্ষা করতে আসেননি কেন প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি অন্য ঘরে থাকি, বের হয়ে আসতে আসতেই এ ঘটনা ঘটে গেছে।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *