চৌগাছায় আমন ধানের বাম্পার ফলন: কৃষকের মুখে হাসি

শ্যামল দত্তচৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছায় আমন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। কার্তিক মাসে ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে ঠিক তখনই আগাম ধান কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ধান ঘরে তুলতে পারছে বলে খুশি চাষিরাও। ধানের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠার স্বপ্ন বুনেছেন এখানকার কৃষকরা।
স্বরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে আগাম ধান কাটা হচ্ছে। কেউ ধান কাটছেন আবার কেউ ধান বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউবা জমিতে ও বাড়ির উঠোনে ধান মাড়াই করছেন।
চলতি মাসেই চৌগাছা উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানের দাম ভালো থাকায় চাষিদের মনও উৎফুল্ল। অপরদিকে মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকরাও সন্তষ্ট। তবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে কৃষি শ্রমিক কম পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৪ হাজার ৮৫০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আগাম জাতসহ ব্রি৫১,ব্রি৪৯,ব্রি৭৫,ব্রি৮৭,রডমিনিকেট, স্বর্না,প্রতীক জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকরা।
কৃষক হবিবর রহমান বলেন, সারের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক সংকটের মধ্যেও ধান চাষ করেছি। গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা লেগেছে। এবার প্রায় দুই গুণ বেশি মজুরি দিতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক সংকট। বর্তমানে ধানের দাম তুলনামূলক অনেক ভালো।
আরেকজন কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই শেষ করেছি। আগাম ধান ঘরে উঠাতে পেরে খুশি। এবার অনেক ধার দেনা করে আমন ধান করেছিলাম। ধানের দাম ভালো পাওয়ায় দেনা শোধ করতে পেরে ভালই খুশি কৃষক রবিউল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেণ বিশ্বাস বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। এদিকে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও তেমন ক্ষতি হয়নি। এই কার্তিক মাসে আগাম ধান পেয়ে কৃষকরাও খুশি।