Type to search

চুয়াডাঙ্গায় লাইসেন্সধারী ইজিবাইক ৯৫৩টি, চলে ৩ হাজার

জেলার সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় লাইসেন্সধারী ইজিবাইক ৯৫৩টি, চলে ৩ হাজার

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, জেলা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা শহরে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইকের সংখ্যা। চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইন্সেস। অপ্রাপ্ত বয়সী চালকদের হাতে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যেখানে সেখানে পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যেই ইজিবাইক একসময় ছিল মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম, সেই ইজিবাইক এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা থেকে লাইন্সেসধারী ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংখ্যা ৯৫৩ টি। কিন্তু সড়কে ইজিবাইক চলে তিন হাজারের ওপরে। চার উপজেলার ইজিবাইকও প্রতিদিন ঢুকছে জেলা শহরে। ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় যান জটলা। চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের শহীদ হাসান চত্বরে এর দৌড়াত্ম্য সব থেকে বেশি। দাপট এতটাই বেশি যে সড়কে চলাচলের কোনো কায়দা নেই। অপ্রাপ্ত আর প্রশিক্ষণ নেই এমন ইজিবাইক চালক হাজারের বেশি।
আরও জানা গেছে, এর আগে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় চার উপজেলার ইজিবাইকের চারটি রং নির্ধারন করে দেয়া হয়েছিল। প্রথম কয়দিন এভাবে নিয়ম মেনে চললেও এখন সেই নিয়মের তোয়াক্কা করে না ইজিবাইক চালকরা।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের কয়েকটি বিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের প্রবেশমুখে ইজিবাইকে জট বেধে থাকে। ওই সময় শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিভিন্ন সমস্যায়। ইজিবাইক চালকরা শহরের যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে। আবার ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে যাত্রী নামানো-উঠানো করে। ফলে শহরের পথচারি থেকে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকরা পড়ে দুর্ভোগে।
এক পথচারি মামুন হোসেন বলেন, শহরের ধারণ ক্ষমতার থেকে ইজিবাইক বেশি। সব সময় বড়বাজার চত্বরে ইজিবাইকের চাপে হাঁটাচলা যায় না। আর এরা প্রশিক্ষণবিহীন চালক। সব অল্প বয়সী ইজিবাই চালক। ট্রাফিক আইন না মেনে ইজিবাইক নিয়ে চলাচল করে। ইজিবাইক কমলে শহরের প্রাণ ফিরে পাবে।
আরেক মোটরসাইকেল চালক সুমন রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত শহরের বিশৃঙ্খলা বাঁধায় ইজিবাইক। দাদের দাঁড়ানোর কোনো নিয়ম নেই। চলন্ত পথে সিগন্যাল না দিয়ে থেমে যায়। ঘটে বড়-ছোট দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শহরের ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার সদর ব্যতিত অন্যান্য উপজেলার ইজিবাইকগুলো যাতে এই শহরের মধ্যে আসতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে।