Type to search

চুয়াডাঙ্গায় অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের অপসারণ ও বিচারের দাবি

চৌগাছা

চুয়াডাঙ্গায় অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের অপসারণ ও বিচারের দাবি

চুয়াডাঙ্গায় অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের অপসারণ ও বিচারের দাবি
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা কাস্টমস কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনসহ যশোর অঞ্চলের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। গতকাল  জেলা শহরের বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ইয়াকুব হোসেন হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত ৬ জানুয়ারি বঙ্গ পিভিসি পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে তছনছ ও মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করা হয়। ঘুষের টাকা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। এতে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন। এ পরিস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই), বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, জেলা পরিবেশক সমিতিসহ মার্কেট ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ প্রতীকী ধর্মঘট ও মানববন্ধনের ডাক দেয়। জেলা শহরের দোকানপাট বন্ধ রেখে মানববন্ধনে অংশ নেন মালিক ও শ্রমিকেরা। তবে এ সময় জরুরি ওষুধ, মাছ-মাংস, ফলমূল ও কাঁচামালের দোকানগুলো এর আওতামুক্ত রাখা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গ পিভিসি পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ ২৪ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উৎপাদন পর্যায়ে জেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে তিনবার স্বীকৃতিও লাভ করেছে। শতাধিক কর্মী সরাসরি সেখানে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এর বাইরে পরোক্ষভাবে উপকারভোগী আরও পাঁচ শতাধিক পরিবার।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে যশোর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের প্রিভেনটিভ দলের কাছে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ৬ জানুয়ারি অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনসহ ১২ সদস্যের একটি প্রিভেনটিভ দল চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় এলাকায় ওই প্রতিষ্ঠানে যান। তল্লাশির নামে তাঁরা ডাকাতের মতো আচরণ করেন। স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদের কাছে দাবি করা ঘুষের অর্থ না দেওয়ায় তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান অতিরিক্ত কমিশনার রাকিবুল হাসান।
এসময় বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবসায়ি ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সদস্য সচিব ও চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, সোনা জোয়ার্দ্দার, কিশোর কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলু, চুয়াডাঙ্গা পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন চান্নু, সভাপতি মাসুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম রিংকু, চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আজিজ, চুয়াডাঙ্গা হোটেল রেস্তোরাঁ কমিটির সভাপতি পেয়ার আলী ও সাধারণ সম্পাদক তহিবুর রহমান বাবু, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ি সুমন খাঁন, প্রিন্স প্লাজা মার্কেটের সভাপতি আমির বাদশা, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সদস্য অপু বিশ^াস ও ফারুক হাসান মালিক, চুয়াডাঙ্গা গমপট্টি ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, মৎস্য পট্টি ব্যবসায়ি সমিতির ফিরোজ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পেট্রোল পাম্প ও ট্র্যাংকলরীর সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম. তছলিম আরিফ বাবু, বঙ্গ পিভিসি পাইপ ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজার হাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার খালিদ হাসান সজিব, হিসাবরক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুমি, প্রমুখ।