Type to search

কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি – আ’লীগ সংঘর্ষ

কেশবপুর

কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি – আ’লীগ সংঘর্ষ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে

যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে তালা লাগিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে বুধবার দুপুরে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তোর অপসারনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিলে চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন তালা ভেঙ্গে ফেলে দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আর্মি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কেশবপুর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর একটার দিকে চিংড়া বাজার ও আশপাশের বিএনপির নেতাকর্মী চিংড়া বাজারে অবস্থিত সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তোর অপসারণের দাবিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর চেয়ারম্যানের লোকজন ওই তালা ভেঙ্গে দেয়। এসময় উভয় পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে ইউপি মেম্বার সবুরসহ প্রায় ২০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে চেয়ারম্যানের ভাই যুবলীগ নেতা মোজাহিদুল ইসলাম পান্না (৪০), ছাত্র লীগ নেতা মাজাহারুল ইসলাম মানিক (৩৫), গোলাম মোস্তফা (৪৫), রনি (৩২), নাঈম হোসেন (২২), রকি (২৬), আকাশ (২৫), সাগর (২৭), ইউনূচ হোসাইন (৩২) ও আবু সাঈদকে (৩০) কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি।
চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো বলেন, কিছু লোক পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিলে এলাকাবাসী তালা ভেঙ্গে দিয়েছে। এ সময় তারা এলাকাবাসীর উপর হামলা করে মারপিট করে।
বিএনপি’র ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম ৫ আগস্টের পরে ওই চেয়ারে বসে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপতৎপরতা লিপ্ত আছেন। বিভিন্ন সময় তিনি বিএনপি সহ এই সরকারের নামে বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল সে কারণেই ইউনিয়ন পরিষদে তাকে আর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হবে না বলে এলাকার মানুষজন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন। তিনি দাবি করেন ওই তালা চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন ভেঙ্গে ফেলতে গেলে তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তো হলো কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের আপন বড় ভাই।