কেশবপুরে ছাগলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর থেকে্-
যশোরের কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর, লুটপাট ও একটি ছাগল মেরে ফেলার অভিযোগে ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফতেমা বেগম জানান, তার ভাসুর কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি-নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার এনতেখাবুল আলমের সাথে প্রতিবেশী আব্দুর রহিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই সুত্র ধরে মঙ্গলবার ওই এলাকার রহিমের ছেলে আরিফ ও হাফিজুরের নেতেৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী এনতেখাবুল আলমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করে। এ সময় তাদের হামলায় কলেজ ছাত্রীসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত ও একটি ছাগল মারা যায়। এরমধ্যে ইকরামুল হাসান, নূর হাসান, মেহেদি হাসান, নাজমূল হাসান, এনামুল হাসান, ওলিউল আলম খোকন, তরিকুল ইসলাম ও নাসিমুল গনি খুদে গুরুতর আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বসত ঘর ভাংচুর করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে এবং ১০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগল পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় ফতেমা বেগম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগ হলেও এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার জের ধরে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালাচ্ছে। পরিবার নিয়ে আমরা বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত আসামীগের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নাসিমুল গণি, ওলিউল আলম খোকন, ইকরামুল হাসান, ইমামুল হাসান, পিকলু প্রমুখ।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।