Type to search

কেশবপুরে কপোতাক্ষ নদের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে ; জনদূর্ভোগ চরমে

অন্যান্য

কেশবপুরে কপোতাক্ষ নদের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে ; জনদূর্ভোগ চরমে

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর( যশোর) থেকে।    যশোরের কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের উপর ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোটি গত শুক্রবার দুপুরে ভেঙ্গে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে । তারপরও ওই সেতুটি পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় জীবন জীবিকার তাগিদে এলাকার লোকজন ঝুঁকি নিয়ে ঔ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে । ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূঘটনা। এলাকাবাসি ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও সে দাবি পূরণ হয়নি। ফলে জনমনে ব্যপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বাজার হলো ত্রিমোহিনী। এ বাজারের পাশদিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু নির্মাণ না করায় জনসাধারণ কখনো নৌকা, কখনো বাঁশের সাঁকোর তৈরি করে পারাপার হয়ে আসছে। অথচ অত্যান্ত গুরুপূর্ণ এই সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় কেশবপুর, কলারোয়া, সাতক্ষীরা এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সাঁকোর পশ্চিম পাশের লোকজনদের ঝুকি নিয়ে কেশবপুর কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ব্যাংকসহ অসংখ্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। কেশবপুরে তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রও রয়েছে। মধুকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে প্রতিবছর ২৫ জানুয়ারী সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত মধুমেলা উপভোগ করতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাজার হাজার লোকজন পার হয়। এছাড়া প্রতি বছর ত্রিমোহিনী বাজারে বসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নান উপলক্ষে স্নান উৎসব। এসব উৎসব উপভোগ করতে আসা হাজার মানুষ চরম    দূর্ভোগে শিকার হয় ।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ত্রিমোহিনী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু না থাকায় মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। কারোর কাঁদে বেগুনের খাচি, কারো মাথায় সবজি, কারোর কাদে ধান, পাট। কলারোয়া থানার কৃষক আব্দুল হালিম, আব্দুল কুদ্দুস, হায়দার আলী, শরিফুল ইসলাম, জবান আলী, ইউনুস আলী, নজরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, তরিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আমিনুর সানা অনেকে বললেন সেতু না থাকায় যানবাহনের অভাবে কাদে ও মাথায় করে সবজি, ধান, পাট নিয়ে ত্রিমোহিনী ও কেশবপুর বাজারে যেতে বাধ্য হন। তাছাড়া বর্ষা মৗসুমে এলাকার স্কুল, কলেজ গুলোতে আসতে হয় ১/২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পার হয়ে । তারা আরো জানান, কপোতাক্ষের উপর একটি সেতু নির্মাণ হলে কেশবপুরে সকল প্রতিষ্ঠানসহ বাজারটিও উন্নত হত। দেয়াড়া গ্রামের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, কপোতাক্ষর উপর সেতুটি র্নিমাণ হলে কেশবপুর, কলারোয়া এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন মানের উন্নতি হতো। তিনি আরো  জানান, নিজেদের স্বার্থে প্রতিবছর এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই বাঁশের সাঁকোটি সংস্কার করা হয়।
কপোতাক্ষর নদের উপর একটি সেতু নির্মিত হলে কেশবপুর, কলারোয়া উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে যাবে। এলাকাবাসি ওই সেতুটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপিসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #