Type to search

কেশবপুরে আলোচিত বেকারী ব্যবসায়ী শরিফুল হত্যার রহস্য উদঘাটন। খুনি আটক

যশোর

কেশবপুরে আলোচিত বেকারী ব্যবসায়ী শরিফুল হত্যার রহস্য উদঘাটন। খুনি আটক

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর)  থেকে।

যশোরের কেশবপুরের সাতবাড়িয়ায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী কর্তৃক বেকারী ব্যবসায়ী শরিফুলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যার কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফজলে রাব্বি উদ্ঘাটন করেছে। তিনি খুনি ইদ্রিসকে গ্রেফতার এবং ঘটনাস্থলের অদূরে একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে।

আসামী ইদ্রিস ঘটনার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। টাকা-পয়সা লেনদেনের ঘটনার জের ধরে খুন করা হয় বলে আদালতে স্বীকারুক্তি দেয় প্রাণঘাতক তার আপন বন্ধু ইদ্রিস আলী। দুই দিন রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার যশোর আদালতে হাজির করা হলে ইদ্রিস আলী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে দাঁড়িয়ে এ জবানবন্দি দেয়। বন্ধুর প্রাণঘাতক ইদ্রিস আলী সাতাড়িয়া গ্রামের মুনাম মোড়লের ছেলে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন জানান, ব্যবসায়ী শরিফুল শুক্রবার রাতে মার্ডার হওয়ার পর শনিবার রাতে ইদ্রিসকে আটক করে ২ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে  যশোর আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।

থানা রিমান্ডে আটক ইদ্রিস স্বীকার করে বলেন, টাকা-পয়সা দেনদেনের ঘটনা নিয়ে তাদের দুই বন্ধুর মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এই লেনদেনের ঘটনার জের ধরে গত ২০ মার্চ রাতে সে নিজে তার বন্ধুকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ছুরি দিয়ে খুন করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পার্শের একটি পুকুর থেকে খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের ইমদাদুল হক মোড়লের ছেলে শরিফুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলে  করে পাটকেলঘাটা বাজারের আল মদিনা বেকারী থেকে খাদ্য সামগ্রী  নিয়ে দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় দোকানে সরবরাহ শেষে রাতে ওই সব দোকান থেকে টাকা আদায় করে বাড়ি ফেরার সময় পতিমধ্যে সাতবাড়িয়া-কড়িয়াখালী বাজারের মাঝখানে মর্শিনা বিলপাড় এলাকায় খুন হয় সে। এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২০ মার্চ কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা  নং-১৩।