কেন্দ্রীয় যুবদলের কর্মসূচির নিউজ কাভার করার সময় সাংবাদিকের উপর হামলা ক্যামেরা ভাঙচুর
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়ায় কেন্দ্রীয় যুব দলের কর্মসূচি পালনের নিউজ করার সময় সাংবাদিকের উপর হামলা ক্যামেরা ভাঙচুর মোবাইল নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে কালিয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পল্টু ও তার ভাই খসরুর বিরুদ্ধে।
নড়াইলের কালিয়ায় নদী ভাঙ্গন ব্লকের উপর কালিয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিবের অবৈধ বালুর ব্যবসার নিউজ করায় সাংবাদিকের উপর এ হামলা ক্যামেরা ভাঙচুর মোবাইল নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করেছে।
আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার কালিয়ার ফেরি ঘাটের পাশে বালুর অবৈধ বালু ব্যবসার পাশে বারুইপাড়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটানো হয়।
আজ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল,নড়াইল জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শায়দাত কবির রুবেল, কালিয়া যুবদলের কামাল সিদ্দিকীসহ যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে করেন। এই নিউজ কাভার করতে সাংবাদিক এস এম হাফিজুল করিম নিলু যান। ফেরার পথে তাকে বারইপাড়া ঘাটে চা খাওয়ার কথা বলে পাশে নিয়ে কালিয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পল্টু ও তার ভাই খসরু সহ অনেকে মারপিট করে ক্যামেরা ভাঙচুর মোবাইল নগদ টাকাও ছিনতাই করে আটকে রাখে এবং জোরপূুর্বক ভিডিও করে । খবর পেয়ে নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি চয়ন বাবু তার লোকজন নিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শায়দাত কবির রুবেল বলেন, সাংবাদিক হাফিজুল নিলু আমাদের সাথে আমাদের নিউজ কাভার করতে গিয়েছিল। তার উপরে হামলায় ঘটনায় তদন্ত-পূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নড়াইল জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান বলেন খবরটি আমি শুনেছি এবং সাধারণ সম্পাদক সায়দাত কবির রুবেলকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। ###
গত ২৪ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অবৈধ বালু ব্যবসার নিউজ হয়। যেটা দেখে ক্ষিপ্ত হন কালিয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পল্টু ও তার ভাই খসরু ।
গত ২৪ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রপত্রিকার নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটানো হয় তার বিবরণ হল।
বেশ আগে থেকেই নবগঙ্গা নদীর ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফেরিঘাটের পাশে ভাঙ্গণ প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)২০১৪ সালে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সিসিব্লক ফেলে ভাঙ্গণ প্রতিরোধ করে।যে কারণে এলাকার মানুষ ভাঙ্গণের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তিবোধ করে।
গত ২৪ নভেম্বর সরেজমিন দেখা গেছে,নবগঙ্গা নদীর পাশ দিয়ে খুলনা-গোপালগন্জ ভায়া কালিয়া সড়ক চলে গেছে ।বেন্দা এলাকার নবগঙ্গা নদীর তীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সড়কের দশ গজ দূরে এসে ঠেকেছে। নদীর ভাঙ্গণ প্রতিরোধে ফেলা হয় সিসিক্লক।কালিয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পল্টু ওনতার ভাই ও তার ভাই খায়রুজ্জামান খসরু শেখ নামে দুইজন বালু ব্যবসায়ী ট্রলারে করে বালু ফেলছেন এই সিসিব্লকের ওপর । এতে বালুর চাপে সিসিব্লক নদীতে ধসে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।এলাকার মানুষ জানান,বালু ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামানের বাড়ি কালিয়া উপজেলার বেন্দারচর গ্রামে।
সিসিব্লক রক্ষার্থে এলাকার মানুষ গতকাল বোরবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। তারা সিসিব্লকের ওপর বালু ফেলা বন্ধের দাবি জানান। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বেন্দা গ্রামের নদী তীরবর্তী বাসিন্দা মিনতি বিশ্বাস,সুশিলা রানীসহ একাধিক বাসিন্দা জানান,পাকা ব্লক ফেলানোর জন্নি নদী ভাঙ্গণ বন্দ হইছিল।কিন্তু এহোন যদি তার ওপর বালু ফেলানো হয় তালিতো(তাহলে)ওই ব্লক নদীতে ধুয়ে (ধ্বসে) যাবেনে। আমাগে আবারো রাতেম হারাম হয়ে যাবেনে।
বালু ব্যবসায়ী মো.খায়রুজ্জামান শেখ বলেন,আমি কালিয়া পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর কোমল আখির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে ওই স্থানে বালু রাখার জন্য ডিড করেছি। আমি জানতাম না এ জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।তিনি বলেন,যদি পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায় তাহলে বালু রাখা বন্দ করে দেব।
তো তিনি তার কথা না রেখে ব্লকের পরে অবৈধ বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ###