অভিযোগ রয়েছে, এসব কিশোর গ্যাংকে পেছনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কয়েকজন ছাত্রনেতা। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে কিশোরদের নানা ভাবে দলে টানছেন তারা।
১২ই নভেম্বর কুষ্টিয়ার আদালত চত্বরে দিনে-দুপুরে হৃদয় নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের কিশোর গ্যাং। ১৯শে নভেম্বর শহরের হাউজিং এলাকায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র লাবিবকে মারধোর করে অন্য কিশোর গ্যাং।
৩রা জুলাই শহরের কুঠিপাড়ায় ফুটবলা খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর তারিকুলকে কুপিয়ে হত্যা করে আরেক কিশোর গ্যাং। এ ঘটনায় পরিবার থেকে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দিলেও পুলিশ একজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেয়ায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ এসব গ্যাংকে পেছনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে কিছু প্রভাবশালী।
শহরের কিশোর গ্যাংগুলোর মধ্যে ব্যাড বয়েজ, ০০৭, বিএসবি গ্রুপ অন্যতম। আর এসব গ্যাংয়ের প্রধান বিএনপি নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে জীবন ইসলাম অমি। স্বরাষ্টমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে অমি দলবল নিয়ে শহরে নানা অপকর্ম করছে- রয়েছে এমন অভিযোগ।
আইন প্রয়োগের সাথে কিশোর অপরাধ বন্ধে নৈতিক শিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধের চর্চার ওপর জোর দেয়া প্রয়োজন এমনটাই মতামত সংশ্লিষ্টদের।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, “যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোতে যারা কিশোর অপরাধি ছিল আমরা তাদের আটক করেছি এবং তাদের আইনে সোপর্দ করেছি। কিশোররা রাজনোইতিক ছত্রছায়ায় লালিত হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।”
আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, “করোনায় আমরা ঘরমুখো হয়ে গেছি। এজন্য বিভিন্নভাবে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেছে।” এসব কমাতে অভিভাবকদের প্রথমে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত দেন তিনি।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য মতে, কুষ্টিয়া শহরে ১১টি কিশোর গ্যাং রয়েছে, যার সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ১৭ -এর মধ্যে।
সূত্র, DBC বাংলা