কুরআন বুঝার উপায়
মহাগ্রন্থ আল কুরআন মানব জাতির মুক্তির সনদ। পৃথিবীর মানুষ যদি শান্তি শৃংখলা ও নিরাপত্তা সহকারে বসবাস করতে চায় তাহলে তাদের কুরআন মেনে চলার বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন “আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নিয়ামতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম” (আল-আরাফ-৯৬)। এছাড়া মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন “আলিফ-লাম-রা-হে মুহাম্মদ! এ একখানি কিতাব আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি যেন তুমি লোকদেরকে জমাট বাধা অন্ধকার হতে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আস- তাদের রবের দেওয়া সুযোগ সুবিধার সাহায্যে সেই আল্লাহর পথে যিনি প্রবল পরাক্রান্ত ও নিজসত্তায় নিজেই প্রশংসিত (সুরা ইব্রাহিম-১)। আয়াতে জুলুমাত বলতে শিরক ও মন্দ কর্মেরঅন্ধকারসমূহএবং নুর বলে ঈমানের আলো বোঝানো হয়েছে। আয়াত থেকে জানা গেল মানবজাতিকে মন্দ কর্মের অন্ধকার থেকে বের করা এবং আলোর মধ্যে আনায়ন করার একমাত্র উপায় এবং মানব জাতিকে ইহকাল ও পরকালে ধ্বংসের কবল থেকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে কোরআন পাক। মানুষ যতইএর সঠিক অর্থ জেনে বুঝে তার নিকটবর্তী হবে ততই তাঁরা ইহকালে সুখ, শান্তি , নিরাপত্তা ও মনতুষ্টি লাভ করবে এবং পরকালেও কামিয়াবি অর্জন করবে।
কুরআন বুঝারউপায় গুলোনি¤œরূপ ;
প্রথমতঃ থেমে থেমে সুন্দরভাবে তেলওয়াত করাঃ-
মহান আল্লাহ বলেন “আপনি কুরআনকে তারতীল সহকারে পাঠকরুন” (সুরামুজজাম্মিল-৪)। আয়াতে তারতীল শব্দের অর্থ সহজ ও সঠিক ভাবে অক্ষর, শব্দ ও বাক্য উ”চারণকরা। আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, দ্রুত তেলওয়াত করবে না বরং সহজভাবে পড়া।
দ্বিতীয়তঃমাতৃভাষায় অর্থ বোঝাঃ-
মহান আল্লাহ বলেন “আমি একে আরবি ভাষায় কুরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার” (সুরাইউসুফ- ২)। কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল আরব দেশে এবং তাদের মাতৃভাষা ছিল আরবি। ফলে তাদের পক্ষে সহজে কুরআনবুঝা সম্ভব হয়েছিল। ফলশ্রুতিতেআমাদের কর্তব্য মাতৃভাষাবাংলায়কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যাজানাবুঝার চেষ্টাকরা।
তৃতীয়তঃ-মাতৃভাষায়কুরআনেরতাফসীরপড়াঃ-
অতএব উপরোক্তপদ্ধতিগুলোঅবলম্বন করলেআমরাপবিত্রকুরআনসঠিক ও সুন্দরভাবেবুঝতেপারবইনশাআল্লাহ। মহানআল্লাহআমাদের পবিত্রকুরআনবুঝেসঠিকভাবেআমলকরেপরকালীনকামিয়াবীহাসিলকরারতাওফিক দানকরুন। আমিন।
মাওঃ মোঃআনোয়ারুলইসলাম
উপাধ্যক্ষ
গাজীপুররউফিয়াকামিলমাদরাসা
অভয়নগর, যশোর।