Type to search

অভয়নগর ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা

অভয়নগর

অভয়নগর ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা

অভয়নগর প্রতিনিধি-নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ছাত্রলীগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে,রোববার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল এবং সোমবার অবস্থান কর্মসূচি।
অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহ্ খালিদ মামুন জানান, মিলনের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল। অভয়নগর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন আসামিদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আশ্বাস পেয়ে ছাত্রলীগ তাদের আন্দোলন সংগ্রাম স্থগিত করে। কিন্তু এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামিকে পুলিশ আটক করতে না পারায় ছাত্রলীগ রোববার ও সোমবার নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে। রোববার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং সোমবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান মিলনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে অভয়নগর উপজেলা, নওয়াপাড়া পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলে সন্ত্রাসীরা বোমা ও গুলিবর্ষণ করে।
জানা গেছে, আহত ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামানের পিতা ইমান আলী বিশ্বাস বাদি হয়ে গত ৩ জুলাই ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৪।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী বলেন, গত ৫ দিনেও নওয়াপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিলনের উপর হামলাকারীদের আটক করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মিলনের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়িদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিলনের ওপর হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি খুব উত্তেজনাকর অবস্থায় ছিলো। আমি অতিরিক্ত পুলিশ এনে শান্ত করেছি। তা না হলে বাজারের ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতির শিকার হতো। আমি এখন ঢাকায়। আসামি আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। দু’একদিনের মধ্যে ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।