অভয়নগরে সড়কে চলাচলের অনুপযোগি

মিঠুন দত্ত: অভয়গর উপজেলার শংকরপাশা থেকে আমতলা পর্যন্ত পাকা সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানা খন্দে ভরে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ভৈবর পূর্ব ওই সড়কটি নড়াইলের কালিয়া, লোহাগাড়া ও সদর উপজেলায় যাতায়তের সংক্ষিপ্ত সড়ক। তাছাড়া অভয়নগর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল শুভরাড়া ও সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে যাতায়তের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন শতশত যানবাহন ও হাজারো পথচারি ওই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করেন।
জানা গেছে,প্রায় ২০বছর আগে তৎকালিন আ.লীগ নেতা শেখ আব্দুল ওহাবের একান্ত প্রচেষ্টায় সড়কটি নির্মিত হয়। সর্বশেষ ৫ বছর আগে সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়। ভারী যানবাহন চলার কারনে রাস্তাটির পীচ খোয় উঠে নানা স্থানে খানা খন্দে সৃষ্ঠি হয়েছে। শংকরপাশা খেয়াঘাট থেকে পাচুড়িয়া পর্যন্ত চলাচলের একেবারে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য স্থানে অনেক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় বাঘুটিয়া গ্রামের রজিবুল ইসলাম মিন্টু আক্ষেপ করে বলেন, ওহাব সাহেব ক্ষমতায় থাকা কালিন রাস্তার পীচ ওঠতে দেয়নি, সাথে সাথে সংস্কার করেছেন। এখন সে ক্ষমতায় নেই তাই রাস্তাটির এ হাল হয়েছে। বর্তমানে এ রাস্তায় কোন ভ্যানওয়ালা মাল টানতে চায় না। আমরা যাতায়তের জন্য অনেক সমস্যায় আছি।
ট্রাকের চালক সঞ্জয় কুমার রায় জানায়, এই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগের কমতি নেই, আজ মঙ্গলবার সকালে মাল বোঝায় ট্রাকটি রাস্তাই ডেবে গেছে।পরে অন্য একটি ট্রাক এনে টেনে তুলতে হয়। এলাকাবাসী জানায়, আমাদের দুর্ভোগের কমতি নেই, তাদের দাবি রাস্তাটা প্রশস্তু না হলেও দ্রুত পুনরায় সংস্কার করতে হবে। উপজেলা প্রকৌশলি অধিদপ্তরের উপ সহকারি প্রকৌশলী গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, সড়কটি বর্তমানে ভৈরব সেতুর সংযোগ সড়ক। আমরা ১৮ ফুট প্রশস্ত করে ভাঙ্গাগেট থেকে আমতলা পর্যন্ত উন্নত করার জন্য একনেকে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। একনেক থেকে সেটি অনুমোদন হয়েছে। এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। আগামী বৃহস্পতিবার সড়কটি টেন্ডারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।বর্তমান অবস্থায় আশু মেরামতের কোন বরাদ্দ আছে কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অর্থ আমাদের হাতে বরাদ্দ নেই।