Type to search

অভয়নগরে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

অন্যান্য

অভয়নগরে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এস টি স্কুল এন্ড কলেজের একটি পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার কিছু লোকের যোগসাজসে ওই ভবন অনেক কম দামে বিক্রি হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দলী এস টি স্কুল এন্ড কলেজের চারতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন বরাদ্দ হয়েছে। চার কক্ষ বিশিষ্ট পূরাতন একটি টিন শেটের ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ পুরাতন ভবন অপসারনের জন্য কয়েক দিন আগে সভা করে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় খোলা দরপত্রের মাধ্যমে ভবনের ইট,কাঠ, টিন. সহ যাবতীয় মালামাল বিক্রি করা হবে। সরজমিনে দেখা যায়, ভবনটি ভেঙ্গে মালামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, আমারা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুরাতন ভবনটি বিক্রি করার জন্য এলাকায় মাইকে ঘোষণা করেছিলাম। খবর পেয়ে চার জন্য ক্রেতা এসেছিলো। কিন্তু এক লাখ টাকার বেশি কেউ দাম দিতে রাজি হয়নি। পরে আমির আলী নামে একজন ক্রেতা দশ হাজার টাকা বেশি বলায় আমরা তার কাছে ভবনটির একটি কক্ষ বাদে সমুদয় মালামাল এক লাখ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ্রেখে দেওয়া কক্ষটিতে সাইকেল গ্যারেজ হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন লোকের যোগসাজসে ভবনটি কম দামে বিক্রি হয়ে গেছে। এখন ভবনটির ভেঙ্গে নিচ্ছে। ভাঙ্গার পর দেখছি এর ভীত করা ছিলো অনেক পুরো ইটের তৈরি। যা আমাদের জানা ছিলো না। তার ধারনা স্থানীয় লোক গোপনে মাটি খুড়ে এ সব ইটের খবর আগেই জেনে ছিলো। পরে তাদের যোগসাজসে ভবনটি কম দামে বিক্রি হয়েছে। এতে আমাদের অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেছে।
ভবনটির ক্রেতা নওয়পাড়া বাজারের আমরি আলী নামে একজন ভাঙ্গাড়ীর দোকানের মালিক। তিনি বলেন, ভবনটি ক্রয় করে খুব বেশি লাভ হবে না। এক এক জনের ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাগ পাবো। তিনি আনুমানিক হিসাব দিলেন, এতে ২৫ হাজার ইট, ৬শ কেজি টিন, ৫শ কেজি জানালার গ্রিল ধরা হয়েছে। এ কাজে লেবার খরচ হবে অনেক টাকা।
ভবনটি বিক্রি করার জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, বিধি মোতাবেক ভবনটি বিক্রি করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ভবনটি তৎকালিন সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্মাণ করে ছিলেন। যদি সরকারি টাকায় ভবন নির্মাণ করা হতো তা হলে আমার দায় দায়িত্ব ছিলো। যে কারনে এ ব্যপারে আমার কোন ভূমিকা নেই।