অভয়নগরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আবারো এক যুবক গুরুতর জখম
স্টাফ রিপোর্টার- অভয়নগরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আবারো এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছে। উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের ধলিরগাতী গ্রামে আজ(শনিবার) দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবকের নাম রিয়াজ হোসেন(২৩)।
এলাকার চারজন যুবক তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধলিরগাতি গ্রামের মৃত মুনসুর মন্ডলের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক রিয়াজ হোসেনকে এলাকার চার যুবক ধাওয়া করে গুপ্তি ছুরি দিয়ে শরীরের বুকে পিঠে, উপযুপরি আঘাত করে। রক্তাত্ব করে তারা ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময়ে শতাধিক গ্রামবাসী ওই হামলাকারীদের তাড়া করে দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দিতে থাকে। সংবাদ পেয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতি দেখে জনগণ দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং জনগণের হাতে আটক হওয়া ওই দুই হামলাকারীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। হামলাকারীরা হলো স্থানীয় মাগুরা গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৪) ও রেজাউলের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০)।
আহত রিয়াজ হোসেনের মামা আক্তার হোসেন বলেন, হামলাকারীরা তার ভাগ্নের সাথে চলাফেরা করতো। শুত্রবার রাতে ওদের সাথে ভাগ্নের কথা কাটাকাটি হয়। শনিবার সকালে ওরা চার জন মিলে তার ভাগ্নের ওপর হামলা করে ছুরিকাঘাত করে। তিনি আরো জানান, রিয়াজের প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে । খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ভাল চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের দুই জনকে জনগন আটক করেছিলো পরে আমরা তাদের থানায় নিয়ে এসেছি, বাকিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। প্রসঙ্গত,গত ১৭ মার্চ উপজেলা ধোপাদী গ্রামে যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনকেও একই ভাবে ছুরিকাঘাত করেছিলো প্রতিপক্ষ। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।