অভয়নগরে জমিজমা নিয়ে সৎ মাকে মারধোরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার-জমি জমা বিরোধে লতিকা মন্ডল(৫৫) নামে এক নারীকে মারধোর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৎ ছেলে তাপস কুমার বিশ্বাস(৫৪), ভাসুরের ছেলে বিভাষ বিশ্বাস(৪৫) ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধোর করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রামে জমি দখলে নিতে ওই নারীকে এ মারধোরের এ ঘটনা ঘটে। তিনি অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত লতিকা মন্ডল অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লতিকা মন্ডল অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এস.টি. স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস স্ত্রী লতিকা মন্ডল ও ছোট ছেলে দ্বীপজ্যোতি বিশ্বাসকে ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার সুন্দলী মৌজায় বিভিন্ন দাগে ৩ একর ৬৮ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এসব জমি তাঁরা ভোগদখল করে আসছেন। এরমধ্যে ২৫ শতকের একটি জমিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে তিনি শ্রমিক নিয়ে বোরো ধান রোপন করতে যান। এ সময় তাঁর সৎ ছেলে তাপস কুমার বিশ্বাস তাঁর ভাসুরের ছেলে বিভাষ বিশ্বাস, প্রতিবেশী সুজন মল্লিক ভোলা(৩৫) এবং বসন্ত বিশ্বাস(৫৫) তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাঁরা তাঁকে ব্যাপক মারধোর করেন। এতে তিনি আহত হন। এলাকাবাসীদের কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
লতিকা মণ্ডল বলেন, ওই জমির মালিক আমি ও আমার ছেলে। ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে আমি চাষাবাদ করে আসছি। গতকাল ওই জমিতে বোরো ধান লাগাতে গেলে আমার সৎ ছেলে, ভাসুরের ছেলে এবং তাঁদের সহযোগীরা আমাকে মারধোর করেছেন। জমি দখলে নিতে তাঁরা আমাকে মারধোর করেছেন।
তাপস কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন,’সকল ঘটনা সাজানো। কাউকে গালাগালও করা হয়নি। মারাও হয়নি।’
অভয়নগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক(এএস আই) মো. সদরুল আলম বলেন,’অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।