Type to search

অভয়নগরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জনের সতর্কবার্তা প্রদান

অভয়নগর

অভয়নগরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জনের সতর্কবার্তা প্রদান

মিঠুন দত্ত: যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন অভয়নগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সীলগালা। এ ছাড়া তিনটি  বেসরকারি হাসপাতাল ও দুইটি ডায়াগন্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে সতর্কবার্তা প্রদান করলেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি সংশোধন করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুরে আকস্মিক ভাবে জেলা সিভিল সার্জন নওয়াপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক , আল মদিনা প্রাইভেট হাসাপাতাল, আরোগ্য সদন, ও ফাতেমা ক্লিনিক সহ দুইটি ডায়াগস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময়ে নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে কর্তব্যরত ডাক্তার অনুপস্থিত, অনুমোদিত শয্যার চেয়ে বেশি শয্যা, পি/ও, অপারেশন চার্যের ভাউচার, রোগী ভর্তির কোন রশিদ না থাকায়  প্কারতিষ্রোঠানটি সীলগালা করে  বন্ধ ঘোশনা করেছেন। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কারণদর্শিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ নিয়েছেন। আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য একই রশিদে পৃথক পৃথক পরীক্ষার চার্য নেওয়া, ওয়েস্ট বিন সঠিক নয়, ও বজ্য ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় একই ধরনের কারোন দর্শানো হয়েছে। এবং ফাতেমা ক্লিনিকে শয্যা সংখ্যা বেশি থাকা, দুর্গন্ধ, ল্যাবে বেড না থাকা ও বজ্য ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় একই ধরনের কারোন দর্শানো হয়েছে। এ ছাড়া আরোগ্য সদনে ও পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে বজ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না থাকায় কারোন দর্শানো হয়েছে।
এ ছাড়া পালস ডায়গস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার চার্য তালিকায় নির্ধারিত মূলের থেকে বেশি থাকা, সি ক্যাটাগরি অনুমোদন পেয়ে বি ক্যাটাগরির পরীক্ষা কেন করানো হয় ,তার কারোন দর্শাতে বলা হয়েছে। এবং বন্ধ থাকা পপুলার ডায়গস্টিক সেন্টার পরিদর্শণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময়ে সিভিল সার্জন ছাড়া অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আরিফুজ্জামান, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মাহমুদুর রহমান রিজভি, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. কেরামত আলী,উপজেলা মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া জাহান প্রমুখ। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, পরিদর্শণ করা ওই সব প্রতিষ্ঠানে কিছু অনিয়ম পাওয়ায় তাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সন্তোষ জনক জবাব দিতে না পারলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।