Type to search

অভয়নগরে অজ্ঞাত রোগে চান্দের বিলে বোরো ধান মরে যাচ্ছে

অভয়নগর

অভয়নগরে অজ্ঞাত রোগে চান্দের বিলে বোরো ধান মরে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার- যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসুয়াড়ী,হিদিয়া,ইছামতি, শ্যামনগর ও নড়াইলের চাকই, রুখালী, মির্জাপুর, খড়রিয়া সহ প্রায় ১৫টি গ্রামের কৃষকের আবাদী চান্দের বিলে অজ্ঞত রোগে সদ্য আবাদকরা বোরো ধান মরে সাবাড় হচ্ছে।
গত রোববার  সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ কালে কৃষকেরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর(পৌষ মাস) মাস থেকে বোরো ধান রোপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে কয়েক দিন আগে তা শেষ হয় ওই বিলে। এই সময়ের মধ্যে ধানের প্রতি গোছায় ১০ থেকে ১৫টি কুশি হয়। কিন্তু এ বছর ধানের কুশি বের হলেই তা কয়েক দিন পর লাল হয়ে পচে যাচ্ছে। বিষয়টি তারা কৃষি কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন কৃষিকর্মকর্তা সরজমিনে মাঠে আসেনি। তারা অফিসে বসে পচন রোগের ওষুধ দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
হিদিয়া গ্রামের কৃষক ইয়ামিন বিশ্বাস জানান, তাদের বিলে বছরে শুধু বোরো ধানের চাষ হয়। প্রতিবছর তিনি ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। জমিগুলো তার নিজস্ব। ওই ধান বিক্রি করে পরিবারের ভরণ পোষণ চলে। এ বছর তিনি পহেলা পৌষে ধান রোপনের শুরু করেন এবং কয়েকদিন আগে রোপন কাজ শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে ধানে ১০ থেকে ১৫ টি করে কুশি গজানোর কথা। কিন্তু একটি দুইটি কুশি গজানোর পরেই তা লাল হয়ে পচে যাচ্ছে। এ বিষয়টি তিনি ফুলতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও তার প্রতিবেশি অভয়নগর উপজেলা কৃষিকর্মকর্ত কে অবহিত করেন। কিন্তু অদ্য অবধি কোন কর্মকর্তা মাঠে আসেনি। হিদিয়া গ্রামের কৃষাণী সালমা বেগম জানান, তিনি একজন স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা। প্রতিবছর দেড় বিঘা জমি বর্গা চাষ করে বোরো ধান ঘরে তোলেন। এ বছর ও তিনি চাষ করেছেন। তার জমির অর্ধেক ধান মরে গেছে। তার একটি ছেলে লেখাপড়া করে। ধান না হলে তার সংসার চলবে না।
এ ছাড়া ওই গ্রামের কৃষক ইমন হোসেন, জাহিদ বিশ্বাস,হাসান বিশ্বাস সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের জমির ধান ও একই ভাবে মরে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের কৃষকের মাঝে এনিয়ে হতাশা বিরাজ করছে।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানি ও অফিস সহকারি নৃপেন্দ্র নাথ জানান, খবর পেয়ে আমরা মাঠে যাইনি কৃষদের এ অভিযোগ সঠিক নয়। গত শুক্রবার আমরা মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠের ধানের পচন দেখে আমারা নিশ্চিত হয়েছি এটা লবনাক্তের কারনে হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। ওই বস জমিতে কি পরিমান লবন আছে তা জানতে চাইলে নৃপেন্দ্র নাথ বলেন, আমাদের কাছে লবন পরিমাপ করার কোন যন্ত্র নাই। যে কারনে আমরা বলতে পারবো না। মাটিতে অম্লত্ব-খারত্বেও পরিমান কী আছে তা কৃষি অফিস বলতে পারেনি। এ বিষয়ে কৃষিকর্মকর্তা লবনাক্ত সহিষনু ধান রোপন করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের।