তিনি হলেন পিডিবিএফ’র ওএসডি যুগ্ম পরিচালক মনারুল ইসলাম। পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন পিডিবিএফ’র যুগ্ম পরিচালক মনারুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে গত বছরের ১১ই ডিসেম্বর।
কিন্তু ১০ মাস পরেও, এ বছরের অক্টোবরে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে পিডিবিএফ এর বৈঠকে ছিলেন মনারুল ইসলাম। ছিলেন পিডিবিএফ’র এমডিও।
পিডিবিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ওই বৈঠকে অভিযুক্ত মনারুল ইসলামের উপস্থিতি স্বীকার করে বলেন, “সোনালী ব্যাংকের সাথে ৩০০ কোটি টাকার একটি হোলসেল প্রোগ্রামের এগ্রিমেন্ট এর কাজের প্রেজেন্টেশন দেয়ার জন্য উনি (মনারুল) সেদিন উপস্থিত ছিলেন।”
গেলো ৫ বছরে ৩৮৫ কোটি টাকার ৩টি প্রকল্পে পরিচালক হয়েছেন মনারুল ইসলাম। প্রকল্পের পিডি হওয়া সহ, অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে, ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। তার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আজম ই সাদতকে প্রকল্পের পিডি হিসেবে কম্পিউটার কিনে দিয়েছেন মনারুল ইসলাম। ফ্লোরা লিমিটেড ২০১৯ এর ডিসেম্বরে কেনা ঐ কম্পিউটারের চালানও এসেছে ডিবিসি নিউজের কাছে।
ফ্লোরা লিমিটেড এর প্রতিনিধি ফোনে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবিসি নিউজকে বলেন, “আট জিবি র্যাম এর একটি ডেস্কটপ এবং একটি মনিটর পার্সোনাল বিল করা হয়েছে।”
মনারুল সাভারে জমি কিনেছেন ব্যবসায়ী হিসেবে। নাটোরের সিংড়ায় বনে গেছেন কৃষক। নামে বেনামে সম্পত্তি কেনার অভিযোগ শুরুতে অস্বীকার করেছেন। পরে বলেছেন অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। যদিও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এবং পিডিবিএফ’র চেয়ারপারসন বলছেন, পিডিবিএফ-এতে চাকরি করে অন্য পরিচয় দেয়ার সুযোগ নেই।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর সচিব রেজাউল ইসলাম বলেন, “সে একটা যায়গায় চাকরি করে,এই চাকরি বাদে অন্য কিছু যদি বলে, সেটা সে ঠিক বলেনাই “।
এছাড়াও ভাতিজা, পিডিবিএফ হেড অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার মুনতাসীর মামুন, ভাগ্নে নাটোর অফিসের আসাদুজ্জামান, খালাতো ভাই এ কে এম আসাদুজ্জামানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অন্তত ৪০ কোটি টাকা সরিয়েছেন মনারুল ইসলাম। যা তদন্ত করে দেখছে বাংলাদেশের ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
সূত্র, DBC বাংলা