Type to search

অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কলেজে টাকা লুটের সিন্ডিকেট!

শিক্ষা

অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কলেজে টাকা লুটের সিন্ডিকেট!

জানা যায়, কিছুদিন আগে কয়েকজন শিক্ষক কলেজে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহি উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ কমিটি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বেতন থেকে কলেজে ৪ লাখ টাকা আয় হয়েছে। শিওর ক্যাশের মাধ্যমে লেনদেনের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে হাতে হাতে। পরে শিক্ষার্থীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন টাকাগুলো তাদের নামে জমা হয়নি। ২০১৫ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত অডিট না হওয়ায় কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সফর আলীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এ সিন্ডিকেট দুর্নীতির সুযোগ পেয়েছে।

তদন্ত কমিটির এক কর্মকর্তা  বলেন, ছয় বছর ধরে মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশ কলেজে জমা করা হয়েছে। বাকি দুই ভাগ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট লুটে নিয়েছেন। ছয় বছরে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে সে হিসাব এখন বলা সম্ভব না। তবে বিপুল পরিমাণের অর্থ দুর্নীতি হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন  জানান, কলেজটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ও বেতন থেকে পাওয়া অর্থ লুটপাট, জীবিত গাছকে মৃত দেখিয়ে বিক্রি করাসহ অনেকগুলো খাত থেকে ছয় বছর ধরে অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে। সকল আয়-ব্যয়ের হিসাবে গভর্নিং কমিটির সভাপতির অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেওয়া হয়নি। এক বছরেই কলেজটি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট হয়েছে। ছয় বছরের দুর্নীতির হিসাব বের করতে অনেক সময় লাগবে। কারণ কলেজে আয়-ব্যয়ের তেমন কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, বোর্ড থেকে তদন্ত টিম পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ পদায়নের জন্য সুপারিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) অভিযোগ দিয়েছি।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম